রাজনীতি মানেই কি শুধু ক্ষমতা দখলের লড়াই, তা বোধহয় নয়। এই দেশে এমন অনেক রাজনীতিবিদ রয়েছেন যাঁরা নিজের জীবন দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।তাঁদের জীবন থেকে নেওয়া এমনই কিছু মনিমুক্তোর সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।
শুনশান রেলস্টেশন, একজন বৃদ্ধা দীর্ঘসময় ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অথচ তিনি জানেনওনা শেষ ট্রেন চলে গিয়েছে। আবারও পরদিন সকালে তিনি ট্রেন পাবেন। চলছে অন্তহীন অপেক্ষা।
অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর ভারতীয় রেলের এক কুলি বুঝতে পারলেন এই বৃদ্ধা ট্রেনের সময় জানেননা। খানিকটা দয়া পরবশ হয়ে সেই মাল বাহক জানতে চাইলেন ‘ মা আপনি কোথায় যাবেন”। বৃদ্ধার উত্তর ” আমি দিল্লিতে যাব বাবা ছেলের কাছে”।
সেই কুলি বললেন কিন্তু মা আজ তো আর ট্রেন নেই, আমি আপনাকে জিনিসপত্র সহ ওয়েটিংরুমে পৌঁছে দিচ্ছি। আগামীকাল ভোরে এসে আপনাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে যাব।
এরপর কুলি কৌতুহল বশত জানতে চাইলেন ” মা আপনার ছেলের নাম কি, দিল্লিতে কোথায় চাকরি করেন”। বৃদ্ধার উত্তর বাবা ছেলের নাম লাল সবাই ওকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নামেই ডাকে। রেলে কাজ করে শুনেছি।
এরপর বাকিটা ইতিহাস হুড়োহুড়ি পরে গেল গোটা স্টেশন চত্বর জুড়ে। চলে এলেন স্টেশন ম্যানেজার, ব্যবস্হা হল সেলুন কারের। বৃদ্ধা তো হতবাক তার লাল কতবড় চাকরি করে। তো যাইহোক দিল্লি পৌঁছে তিনি ছেলেকে বললেন তুমি কি কাজ করো রেলে। ছেলে মাকে প্রণাম করে বললেন একটা ছোটোখাটো কাজ করি মা।
ওই বৃদ্ধা ছিলেন রাম দুলারি দেবী, তাঁর পুত্র পরবর্তী কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, সেই সময় রেলের ক্যবিনেট মিনিস্টার লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।
জওহরলাল নেহ্রুর অন্যতম প্রধান সঙ্গী, প্রথমে রেলমন্ত্রী(১৯৫১-১৯৫৬) হিসেবে ও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। ” জয় জওয়ান জয় কিষাণ ” এই অমর স্লোগানের তিনিই স্রষ্টা। চরণ ছুঁয়ে যাই এইসব রাজনীতিকদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।